বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
উপাধ্যক্ষের বাণী
কোন জাতির অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো শিক্ষা। যতদিন পর্যন্ত কোন জাতি শিক্ষিত না হবে ততদিন তাদের অবহেলা, গঞ্জনা, বঞ্চনার অবসান সম্ভব হবে না। আর এই মহাসত্যকে উপলব্ধি করেই যুগে যুগে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও মহৎপ্রাণ ব্যক্তিগণ মানবজাতির মুক্তি ও মহাকল্যাণের নিমিত্তে শিক্ষাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসে সহজলভ্য ও সহজসাধ্য করার প্রয়াস চালিয়েছেন। আর তাঁদের এ মহান প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে গড়ে উঠেছে মানবজাতির মুক্তি ও উন্নতির আলোকবর্তিকা স্বরূপ অসংখ্য বিদ্যাপীঠ। তেমনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব ও মহৎপ্রাণ ব্যক্তি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সুনীল রঞ্জন ভট্টাচার্য্য ওরফে এসআর চৌধুরী। যিনি এককভাবে ৩ একর জায়গা দানের মাধ্যমে তাঁর প্রয়াত পিতা নীলকান্ত ভট্টাচার্য্যের নামে নীলকান্ত সরকারি কলেজটি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করে আমাদের স্মৃতির মনিকোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করেন।
শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, একই সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধ ও জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়বদ্ধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা এবং দেশ ও জাতির সেবার ব্রতে উদ্দীপ্ত সুনাগরিক গড়ার জন্য নিরন্তর সচেষ্ট আমাদের এ প্রতিষ্ঠান।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রবেশ এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমাদের কলেজ ওয়েবসাইটটি চালু করেছে। আমি আশা করছি এর ফলে যে কেউ প্রতিষ্ঠানের যে কোন তথ্য সম্পর্কে খুব সহজে অবগত হতে পারবে। সম্মানিত শিক্ষকগণ প্রতিটি বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের দৈনিক কার্যক্রম, ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, সাধারণ নোটিশ, ফলাফল এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
যুগের চাহিদানুসারে এ প্রতিষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ এবং যুগোপযোগী করার জন্য এ কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-কর্মকর্তা,কর্মচারীগণ, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং এলাকাবাসী নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ তাঁদের সে প্রচেষ্টা সফল ও সার্থক হবে বলে আমি ঐকান্তিকভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
ধন্যবাদান্তে
আবু তৈয়ব মোঃ ফখরুদ্দীন উপাধ্যক্ষ
নীলকান্ত সরকারি কলেজ মনোহরগঞ্জ,কুমিল্লা।